দলের বাইরের তরুণ স্পিনারদের মাঝেও প্রতিভা দেখছেন ভেট্টোরি

ঢাকা, ২৭ ফেব্রুয়ারি - জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট শেষ। এখন অপেক্ষা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের। আগামী ১ মার্চ থেকে সিলেটে শুরু হবে বাংলাদেশ আর জিম্বাবুয়ের মধ্যকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি। সে লক্ষ্যে ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পূণ্যভূমি সিলেট যাবে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। ধারণা করা হচ্ছে, পরদিন মানে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সিলেটেই শুরু হবে ওয়ানডে দলের অনুশীলন। সেখানে হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো, ব্যাটিং কোচ নেইল ম্যাকেঞ্জির সাথে কাজ করবেন স্পিন কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরিও। তারও আগে সাবেক নিউজিল্যান্ড ক্যাপ্টেন ভেট্টোরি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নতুন প্রজন্মের স্পিনারদের নিয়ে। আজ শেরে বাংলায় সময়ের অন্যতম সম্ভাবনাময় স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, হাসান মুরাদ ও তানভীর ইসলামকে স্পিন বোলিংয়ের নানা ধরনের কৌশল শেখানো ও তাদের ঘষে মেজে আরও উজ্জ্বল করার মিশন শুরু করেছেন ভেট্টোরি। তরুণ স্পিনারদের নিয়ে কাজ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপে ভেট্টোরি জানিয়েছেন, শুধু জাতীয় দলের সাকিব-তাইজুল-নাইমদের নিয়েই নয়, সময় ও সুযোগ পেলে তরুণ ও উদীয়মান স্পিনারদের নিয়েও কাজ করবেন তিনি। তাদের পরিচর্যার কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করবেন। বাংলাদেশের স্পিন কোচ বলেন, এখানে আমি যে শুধুই জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা স্পিনারদের নিয়ে কাজ করতেই এসেছি, এমন নয়। আমার কাজ হবে তরুণ ও সম্ভাবনাময় স্পিনারদেরও শেখানো এবং তাদের মান বাড়ানো। কিন্তু আপনি তো জাতীয় দলের বাইরের তরুণ স্পিনারদের সেভাবে দেখেননি। দেখার সুযোগও কম। তাহলে? ভেট্টোরির জবাব, বেশ কয়েকজনকে অনূর্ধ্ব- ১৯ দলের হয়ে খেলতে দেখেছি টিভিতে। তাদের প্রতি আপনার বার্তা কি? জানতে চাওয়া হলে ভেট্টোরি বলেন, জাতীয় দলের আর তরুণ স্পিনার সবার জন্যই একই বার্তা। আমি তরুণ স্পিনারদের মেধা ও স্কিল দেখে সন্তুষ্ট। ভেট্টোরি মনে করেন, জাতীয় দলের স্পিনারদের মতই প্রতিভাবান তরুণ স্পিনাররা। জাতীয় দলের অফস্পিনার নাঈম হাসানের উদাহরণ টেনে ভেট্টোরি বলেন, কয়েক বছর আগে নাঈমও ছিল বয়সভিত্তিক দলের স্পিনার। কিন্তু অল্প সময়ের ভেতরে সে নিজেকে উন্নত করেছে। নিজেকে সৌভাগ্যবান দাবি করে টাইগারদের স্পিন কোচ বলেন, আমি সৌভাগ্যবান কজন প্রতিভাবান ও সম্ভাবনাময় স্পিনার পেয়েছি। এই স্পিনারদের নিয়ে কিভাবে কাজ করবেন? জানতে চাওয়া হলে ভেট্টোরি পরিষ্কার বুঝিয়ে দেন, বড়সড় কোন পরিবর্তন আনা হবে না কারোরই। শুধু তাদের অভিজ্ঞতার ভান্ডারটা একটু সমৃদ্ধ করার চেষ্টা থাকবে আর তারা কি করে আরও ভালো বোলার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেন, সেটাই বোঝানো হবে। ভেট্টোরির ভাষায়, আসলে খুব যে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আনা হবে তা নয়। আমি মূলত আমার অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করবো। আর তাদের বোঝানোর চেষ্টা করবো কি কি করলে তারা আরও একটু ভালো বোলার হতে পারবে। তরুণদের বেশিরভাগই জানে কিভাবে ভালো পারফরম করা যায়। হাসান মুরাদ ও তানভীর ইসলামের নেটে বোলিং নজর কেড়েছে ভেট্টোরির। উদীয়মান এই দুই স্পিনারকে নিয়ে বলেন, তারা নেটে খুব ভালো বোলিং করেছে। তবে নেটে বোলিং আর ম্যাচ কন্ডিশনে পারফরম করা এক কথা নয়। ভেট্টোরি যোগ করেন, এই মেধাবী স্পিনারদের সাথে কাজ করা আর তাদের ম্যাচে দেখতে পাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি চাই এই তরুণরাও তাইজুল, নাইম ও মিরাজের মত কিছু করে দেখাক। এবং স্পিন বোলিংয়ের খুঁটিনাটি এবং সুক্ষ্ম বিষয়গুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাক। তাদের ভালো করার সময় ও সুযোগ আছে। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৭ ফেব্রুয়ারি

from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2HWkshG
https://ift.tt/eA8V8J

Post a Comment