ম্যারাডোনাই ছিলেন আমার সেরা প্রতিদ্বন্দ্বী

ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার ভাবা হয় তাকে। ইতালিয়ান ফ্রাঙ্কো বারেসি যে সময়টা খেলেছেন, তখন ফুটবল বিশ্ব দাপিয়ে বেড়িয়েছেন বিশ্বসেরা তারকা ফুটবলাররা। ব্রাজিলের জিকো, সক্রেটিস থেকে শুরু করে আর্জেন্টিনার দিয়েগো ম্যারাডোনা। এসি মিলানের জার্সিই হোক কিংবা ইতালি জাতীয় দলের জার্সি- বিশ্বের বাঘা-বাঘা ফরোয়ার্ডদের বিরুদ্ধে খেলেছেন তিনি। সেই ফ্রাঙ্কো বারেসিকে তার সময়ের সেরা প্রতিদ্বন্দ্বী বাছাই করতে বলা হয়। কোনো দ্বীধা না করেই বারেসি, চোখ বন্ধ করে জানিয়ে দিলেন একটাই নাম- দিয়েগো ম্যারাডোনা। ৬০ বছরের সাবেক এই ইতালিয়ান তারকা ডিফেন্ডারের সাক্ষাৎকার নিয়েছে স্পেনের একটি ক্রীড়া দৈনিক। সে সাক্ষাৎকারে বারেসি বলেন, আমি সতীর্থ হিসেবে অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড়কে পেয়েছি। তাদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট একজনকে সেরা হিসেবে বাছাই করতে পারবো না; কিন্তু যদি সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ বাছাই করতে বলেন, তাহলে ম্যারাডোনার কথাই বলতে হবে। শুধু আর্জেন্তিনা জাতীয় দলে নয়, ইতালিয়ান সিরি-আ লিগে ন্যাপোলির ম্যারাডোনার বিরুদ্ধেও নিয়মিত খেলতে হয়েছিল ফ্রাঙ্কো বারেসিকে। মোটকথা ফুটবল মাঠে ম্যারাডোনা আর বারেসির দ্বৈরথ ছিল দেখার মত। ক্যারিয়ারে বারেসি কোচ হিসেবে পেয়েছেন অ্যারিগো সাচ্চি বা ফ্যাবিও ক্যাপেলোর মতো বড় নাম। তাদের মধ্যে কার অধীনে বেশি সচ্ছন্দ ছিলেন খেলতে? বারেসির জবাব, সাচ্চি পারফেকশনিস্ট। ইতালির ফুটবল উনি পাল্টে দিয়েছিলেন। আর ক্যাপেলোর নজর থাকত সব দিকে। আমার কাছে দুজনই গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন। ১৯৮২ সালে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন বারেসি, ১৯৯৪ সালে রানার্সআপ। বারেসির কথায়, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতি ছিল দারুণ। পুরো দেশকে উচ্ছ্বাস করতে দেখেছিলাম তখন। আর ১৯৯৪-এর খারাপ স্মৃতি ধীরে ধীরে মিলিয়ে গিয়েছিল। তবে মাঝেমাঝেই সেই দিনটা মনে পড়ে যেত। মিলানে ২০ বছর খেলেছিলেন, ২২ বছর বয়সে হয়েছিলেন ক্লাব অধিনায়ক। বারেসির মন্তব্য, আমি গর্বিত মিলানে ১৫ বছর অধিনায়ক থাকতে পেরে। ওই আর্মব্যান্ড পরার একটা অবিশ্বাস্য প্রভাব ছিল। ২২ বছর বয়েসই হয়তো পুরোপুরি তৈরি ছিলাম না; কিন্তু ধীরে ধীরে শিখে নিয়েছিলাম। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ৩০ মে

from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3dhdphG
https://ift.tt/eA8V8J

Post a Comment