শ্বেতী রোগ দূর করার ঘরোয়া টোটকা

আমাদের শরীরের ত্বক যখন এর স্বাভাবিক রং হারিয়ে একপ্রকার অস্বাভাবিক সাদা রং ধারণ করে এটিই হল শ্বেত রোগ। ইংরেজিতে এটিকে Albinism বলা হয়, ল্যাটিন শব্দ Albus থেকে এর উৎপত্তি। শরীরের ইমিউন সিস্টেম ব্যর্থ হলে ত্বকের কোশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মারা যায়। এর ফলেই শরীরে অস্বাভাবিক সাদা দাগ পড়ে। নারী পুরুষ উভয়েরই যেকোনো বয়সে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বংশগতভাবেও এ রোগ হতে পারে। তবে শ্বেত রোগকে অনেকেই কুষ্ঠ মনে করে থাকে তবে কুষ্ঠের সঙ্গে শ্বেত রোগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটি কেবল আমাদের সৌন্দর্যে বিঘ্নতা ঘটায় তাছাড়া এর কোনো বিপদজনক দিক নেই, এটি ছোঁয়াচেও নয়। প্রাথমিক পর্যায়ে ডায়েটের মাধ্যমে এ রোগ নিরাময় এবং এর ছড়িয়ে পড়া আটকানো সম্ভব। তবে সারা শরীরে ছড়িয়ে থাকা অনেকদিনের শ্বেতীর ক্ষেত্রে চিকিৎসা করে খুব ভালো ফল পাওয়া যায় না। আখরোট, পেঁপে শ্বেত রোগ নিরাময়ে কাজ করে। ভিটামিন বি, সি এবং অ্যামিনো অ্যাসিড, প্রোবায়োটিকস এবং প্রিবায়োটিকস দৈনন্দিন খাবারে অন্তর্ভুক্ত করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যামিনো এসিড পেতে প্রোটিনজাতীয় খাবার গ্রহণ করুণ। আরও পড়ুন: ত্বকের যত্নে ফেস অয়েল ত্বকের বহির যত্নের মাধ্যমে এ রোগ নিরাময় সম্ভব। হলুদের গুঁড়া এবং সরিষা তেলের মিশ্রণ আক্রান্ত অংশে টানা ১৫-২০ দিন প্রয়োগ করলে উপকার পেতে পারেন। ন্যারো ব্যান্ড অতি বেগুনি ফোটো থেরাপির (এনবি-ইউভি ফোটোথেরাপি) মাধ্যমে প্রথমেই চিকিৎসা আরম্ভ করলে এ থেকে নিরাময় পাওয়া যায়। এই ফোটোথেরাপিতে ব্যবহার করা হয় ৩১১-৩১২ ন্যানোমিটার তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বিশেষ অতি বেগুনি রশ্মি। এর কোন ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া নেই। তবে দক্ষ চিকিৎসকদ্বারা এ থেরাপি নিতে হবে। তাছাড়াও আরও বিভিন্ন চিকিৎসা রয়েছে। যেমন- লোকাল হেলিওথেরাপি, সিস্টেমিক হেলিওথেরাপি, লোকাল পুভা, সিস্টেমিক পুভা, টপিক্যাল স্টেরয়েড, সিস্টেমিক স্টেরয়েড। সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3l2bOjn

Post a Comment